
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভয় দেখিয়ে গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে বাবর আলী (৪৫) নামের এক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। গত ৭ মাস আগে উপজেলার অজ্ঞাত স্থানে প্রতিবন্ধীর কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার ফলে প্রতিবন্ধী কিশোরী গর্ভবতী হয়। প্রতিবন্ধীর পরিবারকে ভয় দেখিয়ে গত ২৯ মে সাত মাস গর্ভবতী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকারী হলেন, উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাবর আলী। বাবর আলী প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী, গত ৭ মাস আগে বাবর আলী মেম্বার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। আমি শ্রমিকের কাজ করার জন্য মাদারীপুরে গত ২ মাস সেখানে ছিলাম। গত তিনদিন আগে আমার স্ত্রী আমার মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার বিষয় আমাকে অবহিত করেন। আমি তিনদিন পর আসার কথা বলি। এরই মধ্যে গত ২৯ মে বৃহস্পতিবার বাবর আলী মেম্বার আমার স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে আমার প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে বাবর আলী সাথে নিয়ে মাতৃ সদনে গিয়ে গর্ভপাত করান। এই বাবর আলী মেম্বার এর আগেও অনেক অপকর্ম করেছেন। অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কোন বিচার হয়নি। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই বাবর আলী মেম্বারের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই এবং আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে পারচ্ছি না।
অভিযুক্তকারী বাবর আলী বলেন, মেয়েটি তার বাড়ির পাশে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আয়ার কাজ করতেন সেখানে অন্য কারো দ্বারা গর্ভবতী হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়ের মা আমার কাছে এসে মেয়েটির সম্পর্কে জানায় তখন আমি মেয়েটাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যেই মেয়েটির গর্ভপাত হয়। আমার প্রতিপক্ষ শত্রুরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটার পরিবারের সাথে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ করার সম্ভব হয়নি। ধর্ষণ ও গর্ভপাত সংক্রান্ত বিষয়ে মেয়েটার পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।