
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে লুটপাট, বাড়ি-ঘরে হামলা ভাংচুর ও উভয় পক্ষের আব্দুল মালেক সরকার ও নুরনবি সরকার নামে দুইজন আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ সদরে দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এঘটনা উভয় পক্ষ থানায় মামলা দিয়েছে।
আহতরা হলেন, সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মৃত লেবু সরকারের ছেলে আব্দুল মালেক সরকার (৫২) ও অপর পক্ষের একই গ্রামের মৃত জুরান সরকারের ছেলে নুরনবি সরকার।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সেনভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতের ভাতিজা লিখন সরকার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি লিখন সরকার জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুর রউফ বাবুর সাথে একই গ্রামের মৃত লেবু সরকারের ছেলে আব্দুর মালেকের সাথে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে আবু বক্করের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমার চাচা আব্দুল মালেককে হত্যার উদ্দ্যোশে ধারালো খুর দ্বারা বুকে, পিঠে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে দলবন্ধ ভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আবু মালেকের বসতবাড়ির শয়ন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতর থাকা টিভি ফ্রিজ, শোকেজ, ট্রাংক, ওয়ারড্রোপে সহ সকল মালামাল ভাংচুর করে এবং ৩টি কারেন্টের মিটার ভাংচুর ও ওয়ারড্রোপে থাকা স্বর্নের কানের দুল ও গলার হার যাহার ওজন ২ভরি ও পুত্রবধুর গলার চেইন ও কানের দুল নগদ টাকাসহ লুট করে নিয়ে যায়। এতে তাদের প্রায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতিসাধিত হয়। পরে চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আবু মালেক সরকারকে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ এম এ মুনসুর আলী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে আহত নুরনবির ভাবি ছকিনা বেগম বলেন, পূর্বের একটি মেয়েলী ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে আমার দেবর নুরনবি আবাদি জমিতে কাজ করতে গেলে হাতুরি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আগাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। পরে তাদের বাড়ীতে লোকজন গিয়েছিলো। আমরা থানায় মামলা দিয়েছি।
স্থানীয়রা বলেন, পুর্বের জেরে নুরনবি সরকারকে চরার মধ্যে মারপিট করে, এরপর নুরনবির লোকজন মালেক সরকারকে মারপিট ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তারা আরও বলেন, দিনে দুপুরে বসতবাড়িতে লুট পাট ও হামলার ঘটনায় আমরা গ্রামবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সবোর্চ্চ শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন বলেন, লুটপাট ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা সরজমিনে গিয়েছিলাম। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলচ্ছে।