
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ করে আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
আসামী মো: রেজাউল করিম উজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের কলিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। সে আরকে টিভির স্বত্যাধিকারী ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি। এছাড়া ওই মামলায় আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. এখলাসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ছোট ভাই হামিদুল হক বাবু অভিমানে বড় ভাই হাফিজুলকে আসামী করে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় হাফিজুলকে বেলকুচি থানা পুলিশ আটক করলে, থানায় এসে হামিদুল হক বাবুর সুমন্ধী ভাই সাংবাদিক রেজাউল করিম জন সম্মুখে আলোরন সৃষ্টি করার জন্য বিস্তারিত না জেনে হাফিজুলের গ্রেফতার হওয়ার দৃশ্য বিভিন্ন রকম ফুটেজ ও ছবি বানিয়ে গত ৩০ জুলাই আরকে টিভি ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় মিথ্যা কথা সাজিয়ে একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে। বিভিন্ন সময় মিথ্যা সংবাদ রটাতে থাকে। মামলার বাদি হাফিজুল সাংবাদিক রেজাউলকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বার বার অনুরোধ করলে। কিন্তু সাংবাদিক রেজাউল করিম বাদিকে বলে সংবাদ প্রকাশ করবো না, এর জন্য আমাদের এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সাংবাদিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রামদা লোহার রড বাটামসহ ৪/৫ জন অচেনা মানুষ নিয়ে বাদির বাড়িতে এসে টাকার দাবি করে এবং তাকে মারতে আসে। এসময় বাচার জন্য চিৎকার করলে তখন হাফিজুলের বাবা, চাচাতো ভাই ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে বাদিকে টাকা না দিলে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।
স্থানিয়রা জানায়, সাংবাদিক রেজাউল বিভিন্ন স্থানে নিউজ করে মান হানির ভয় দেখিয়ে চাঁদা নেয়। চাঁদা না দিলে মান হানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। ইতি পুর্বে রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছে থেকে টাকা নিয়েছিলো। পরে কিছু টাকা ফেরৎ দিয়োছে। বাকি টাকা সাবেক চেয়ারম্যান মাপ করে দিয়েছে।
মামলার বাদি হাফিজুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক রেজাউল করিমসহ তার সাথে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দ্রুত বিচার আইনে সিরাজগঞ্জ আদালতে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করি।