
ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের বিষয়কে ঘিরে ক্রিকেট অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়ছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তামিম ইকবালসহ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক অভিযোগ করেন, দায়িত্বশীল মহল—বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জেলার ও বিভাগীয় কাউন্সিলরের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ প্রয়োগ করছেন।,
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, “বিসিবির সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই। এখানে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।” তিনি দাবি করেন, সাংগঠনিক ক্ষমতা অপব্যবহার করে নির্বাচনী প্রভাব খাটানো হচ্ছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে কাউন্সিলর পদ পাওয়া বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আরও কড়া মেজাজ দেখিয়ে বলেন, “বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করে রাজনৈতিকভাবেও মোকাবিলা করবো।”
এদিকে এ নির্বাচনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। কমিশনে আছেন সিআইডি-র অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।
ক্রিকেট অঙ্গনের এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন, মন্ত্রণালয় ও বিসিবির প্রতিক্রিয়া—সবকিছুই এখন নজর কেড়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হবে কি না, সেটাই অনেকে জানতে চাইছেন।,