
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষনা পত্র ও নতুন সংবিধান তৈরীর দাবী জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশে আগে ফ্যাসিবাদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এরপর নতুন সংবিধান তৈরী করতে হবে। কেননা বর্তমান সংবিধানে বিভাজন তৈরী করা হয়েছে। নতুন সংবিধানে ৪৭, ৭১ ও ২৪ সালের ইতিহাস থাকতে হবে। তারপরই দেশে নির্বাচন হওয়া উচিত। অন্যত্থায় আবারো ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
সোমবার ( ৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার ষ্টেশন মুক্তির সোপানে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, পরিবর্তনের যে আকাঙ্খা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। বর্তমানে সেই পরিবর্তন আমরা দেখছি না। জুলাই সনদ নিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের বিচার দাবী করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই মিডিয়া এখনো অতীতের মত ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। এখনো তারা গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছে। এজন্য অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের যারা আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পথসভায় লোকজনকে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের এই পথসভায় লোকজন আসতে একটি পক্ষ বাধা দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে। যারা ভয়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনছেন, তারা ভূল করছেন।
প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে নাহিদ বলেন, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ এখনো নিরপেক্ষ নয়, তারা একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। প্রশাসনের অফিসগুলো ওইসব দলের পার্টির অফিসে রূপান্তরিত হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের হাত ধরেও টিকে থাকতে পারেনি। নিজেদের মধ্যে হানাহানি বন্ধ করতে হবে। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সবাইকে ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে। তা না হলে আন্দোলন বেহাত হয়ে যাবে। বসুন্ধরা গ্রুপের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, আমরা দেখেছি কয়েকজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতি তারা ৩ আগষ্ট শেখ হাসিনার পক্ষেও দিয়েছিলেন। এই বিবৃতি দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। আমি কাউকে ভয় পাই না।
পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক মুনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার, যুগ্ম সদস্য সচিব (কোষাধ্যক্ষ) এস, এম সাইফ মোস্তাফিজ ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি প্রমুখ।
এরআগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পদযাত্রা নাটোর থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের এসে পৌছে। পথসভা শেষে এনপিসির নেতারা শহরের প্রধান সড়কে সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেন। এরপর তারা পাবনার উদ্যেশ্যে রওনা দেন।