নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মিলন সরকার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান হৃদয়ের চাঁদাবাজি, জলাশয় দখল, আওয়ামী দোসরদের মামলা থেকে বাঁচাতে তদবির বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে মুক্তি চেয়ে প্রশাসন ও গণমাধ্যমে নজরে বারবার প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এর আগে ঘর দখলের অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা বিএনপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তাদের তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা যায়।
এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ জন সাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অবশেষে মিলন সরকার ও হৃদয়ের অপকর্ম থেকে বাচঁতে এলাকার ৬শ থেকে ৭শ জনের গণস্বাক্ষর নিয়ে গতকাল বুধবার (৯এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা বিএনপি, পুলিশ সুপার ও সেনা ক্যাম্প বরাবর চিঠি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, বিএনপি নেতা মিলনের নানা অপকর্ম, জায়গা দখল, অন্যায়ের অন্যতম সহযোগি, কারণ অকারনে অসহায় মানুষদের জুলুম অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে
এলাকাবাসী। সম্প্রতি দইভাঙ্গা নদী দখল করে অবৈধ ভাবে জাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করে মিলন ও তার সহযোগি হৃদয়। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দেওয়া হলে প্রকাশ্য মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে মিলন ৫নং খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান হৃদয়। এছাড়া চন্দ্রকণা মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ ভাগিয়ে নিতে মুহতামিম রুবেল হোসেনকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে। এবং সেই ভিডিও বক্তব্য উল্লেখ করেন আমি থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আমি যে কমিটি করবো সেটাই থাকবে। এতে চরম ভাবে মুহতামিমের উপর চরম চড়াও হয়। এনিয়ে এলাকাবাসী তাঁর দলীয় সকল কর্মকান্ড থেকে পদচ্যুত ও শাস্তি কামনা করে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।