সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ড. এম মুহিতের সকল পদ স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলে নেতাকর্মীসহ তৃনমুল বিএনপি। ইসলামিয়া সরকারী কলেজ মাঠে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী ড. এম.এ. মুহিতের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তারা এদাবী জানিয়েছেন। নেতাকর্মীদের দাবী ড. এম, এ মুহিত সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ডা. এম.এ মতিনের ছেলে এবং শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির অভিভাবক এবং নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদের আশ্রয়স্থল ছিল। তুচ্ছ ঘটনায় দলে থাকা তাঁর সকল পদ স্থগিত করায় তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সকলের আশা দেশনায়ক তারেক রহমান বিষয়টি পূর্নবিবেচনা করবেন।
শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে গোলাম সারোয়ার নামে একনেতা ও তার অনুসারীদের সাথে কতিপয় নেতাকর্মীর তর্কাতর্কি ও সামান্য মারামাপিটের ঘটে। ঘটনার সময় ড. এম.এ মুহিত উপস্থিত ছিলেন না। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। এতে তৃনমুল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের প্রাণের দাবী বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমান তাঁর সকল পদ ফিরিয়ে দেবেন।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন জুয়েল জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর যারা জেল খেটেছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের সকল খরচ বহন করতেন ড. এম ,এ মুহিত। নিজ সন্তানের মতো আজও নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু যার সাথে শাহজাদপুরের কোন নেতাকর্মীর যোগাযোগ ছিল না, সেই সুবিধাবাদী গোলাম সারোয়ারের কারনে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ড. এম.এ মুহিতের পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা ছাত্রদল তারেক রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে অবিলম্বে তার সকল পদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবী করছি।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও যুগ্ন্ আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদও একই দাবী জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের যখন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল, তখন আমরা ঢাকায় মুহিত সাহেবের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তিনি শুধু আমাদের কর্মীদের নয়, তাদের পরিবারের খরচও বহন করেছেন। বিপদ-আপদে পাশে থেকেছেন।
পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য আব্দুল মজিদ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান, ড.এম. মুহিতের পদ স্থগিতাদেশের নির্দেশন শাহজাদপুরের বিএনপি নেতাকর্মী এতোটা আঘাত পেয়েছে, যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ড. এম. এ মুহিত পরাজয় জেনেও নেতাকর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্মীদের সক্রিয় রাখতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিপুল সংখ্যক সমর্থক নেতাকর্মী বিএনপির সমাবেশে অংশ নিয়ে মুহিতের দলীয় পদ পূনর্বহালের দাবী নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেছে এবং বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়াররম্যান তারেক রহমানকে অবগত করার দাবী করেছেন। আমরাও তাদের আশ^স্ত করেছি। তিনি বলেন, বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে ড. এম.মুহিতের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারকে বাধা দেওয়া হয় এবং দুইপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. এম.এ মুহিত ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তারপরও এ ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ড. এম. এ মুহিত ও গোলাম সরোয়ারের সকল দলীয় পদ স্থগিত করেন।