
ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছেন সুধারাম থানার সাবেক টিএসআই লিটন চন্দ্র দত্ত।
রোববার দুপুরে দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তাকে আটক করা হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে টিএসআই লিটন আটক হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দারোগা লিটন জনতার কাছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
স্থানীয়রা জানায়, টিএসআই লিটন চন্দ্র দাস আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘসময় সুধারাম থানায় ও জেলা শহরে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানাভাবে হয়রানি করেন। ওয়াজ-মাহফিল বন্ধে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক বিএনপি নেতা জানান, লিটন দত্ত বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর। তার অত্যাচারে বিএনপি নেতারা ঘরে ঘুমাতে পারেননি। বিভিন্ন অজুহাতে মামলার ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন।
জানা যায়, রোববার দুপুরে আদালতে তার সাক্ষ্য দিতে আসার খবরে ভুক্তভোগী জনতা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। পরে ভুক্তভোগী লোকজন তাকে আটক করে হেনস্তা করে। খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সেনাবাহিনী ও সুধারাম থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের হাতে তার আটক হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’