
নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী চূড়ান্তের কাজে ব্যস্ত বিএনপি। ইতোমধ্যে ২০০টিরও বেশি আসনে প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়া শেষের পথে। শিগগিরই তাদের মাঠে নামার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন ঘোষণার পর বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। প্রতিদিন গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক হচ্ছে, যেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে— দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনীত প্রার্থীদেরও বলা হচ্ছে, দলের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, ভালোবাসা ও সহযোগিতায় কাজ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আসনভিত্তিক বিরোধ নিরসনে সিরিজ বৈঠকের পর একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বহিষ্কারের শাস্তি আসবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অন্তত শতাধিক আসনে বিএনপির বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করাতে একটি বিশেষ মহল সক্রিয়। তাদের পেছনে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মাঠপর্যায়ে ঐক্য বজায় রাখার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের ১১৪টি আসনের সাড়ে তিন শতাধিক প্রার্থীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তারেক রহমান। সোমবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক চলছে।
বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সাংসদ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, মনোনয়ন ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে দল এখন কঠোর অবস্থানে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা বা বিদ্রোহী আচরণের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা-৪ আসনের প্রার্থী নাজিমুদ্দিন আলম বলেন, বৈঠকে সবাইকে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা অপেক্ষা করছে।
বরগুনা-২ আসনের মনিরুজ্জামান মনির জানান, বৈঠকে বলা হয়েছে— দলের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনিও যেন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেন।
বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোশারফ হোসেন বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০টি আসন উন্মুক্ত রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ভোটে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে সমঝোতার ভিত্তিতে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত করতে চায় দলটি।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.