
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাড়ছে শীতের তীব্রতা, থাকবে আরও দুই-তিনদিন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কুয়াশা আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এরপর সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা’) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কুয়াশা পরিস্থিতি আরও দু-তিন থাকতে পারে। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ১৫ ডিগ্রিতে এলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। এখন কোথাও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে শীতের অনুভূতি এত হতো না।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের চেয়ে আজ বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আরও দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে। আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত বা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকতে পারে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।’