
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চায় ভারতের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘সামনে এগিয়ে নেওয়ার’ ব্যাপারে জোরালো সমর্থন জানানো হয়েছে। শনিবার প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু–র খবরে এ তথ্য উঠে আসে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে অংশ নেন ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু।
বৈঠকে সংসদ সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বন্ধনে জড়িত। ফলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ‘বৈরী প্রতিবেশী’ হিসেবে দেখার প্রবণতা থেকে সরে আসার পক্ষে মত দেন তাঁরা। এ ছাড়া, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গকে সেতুবন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়ার সুপারিশও উঠে আসে আলোচনায়।
বৈঠকে আরও আলোচনা হয় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসন’, এবং সম্প্রতি কুনমিংয়ে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে। এতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান নতুনভাবে মূল্যায়নের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ওই সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়ে।
এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহর বৈঠককে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, বিশেষত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের মাধ্যমে দুই বাংলার সংযোগকে কূটনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শও উঠে আসে।