নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালানোর পর যত সময় গড়িয়েছে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তত গভীর হয়েছে। ভারতীয় দাদাবাবুরা স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশে তাদের চিকিৎসা ভিসাসহ সব ধরণের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছিলো। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মাস্টারমাইন্ড ড. ইউনূসে দূরদর্শিতায় বাংলাদেশের রোগিদের জন্য খুলে যায় চীনের দরজা। শুধু এতটুকুই নয় বাংলাদেশে ৩ টি হাসপাতাল নির্মাণ হবে চীনের বিনিয়োগে। যার মধ্যে একটি আবার ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট। বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে এই তিনটি আধুনিক হাসপাতাল উপহার দেবে চীন সরকার।
চীনের হাসপাতাল নির্মাণ করার খবর আসার পর থেকেই চারিদিকে আলোচনা শুরু হয় হাসপাতালগুলো কোথায় নির্মাণ হবে তা নিয়ে। এই হাসপাতাল ৩ টির মধ্যে একটি স্থাপিত হবে রাজধানী ঢাকাতে। আর বাকি দুইটির একটি চট্রগ্রাম আর একটি নীলফামারীতে। এর মধ্যে নীলফামারীতে হবে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল আর চট্টগ্রামে একটি জেনারেল হাসপাতাল। অপরদিকে ঢাকায় হবে একটি পুনর্বাসন হাসপাতাল।'
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিকে নীলফামারীর ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালটি নির্মাণ হবে তিস্তা প্রকল্পের কাছে। এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নীলফামারী মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ১৬ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এছাড়া চট্টগ্রামের দক্ষিণ কর্ণফুলীতে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাইয়ে বিভিন্ন আহত-প্রতিবন্ধী রোগীদের পুনর্বাসনের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি রিহ্যাবিলেটেশন হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চীন।
তবে ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোর নির্মাণ নিয়ে এই তিন জেলার বাইরের অন্য জেলার বাসিন্দাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ এলাকায় নির্মাণের দাবি জানানোর চিত্রও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের নীলফামারীতে নির্মাণ হতে যাওয়া ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নিয়ে বেশি আলোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে। এর মধ্যে গাইবান্ধা ও পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের দেখা গেছে নিজ জেলায় এই হাসপাতালটি নির্মাণের দাবি জানাতে।'