বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করে ও দেবরের অনৈতিক বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বিধবা নারীকে গুরুতর জখম ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী নারী ফরিদা ইয়াছমিন চৌধুরী বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪জন কে অজ্ঞাত রেখে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার জমিদার বাড়ীর বাদীর বসতঘরে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ওই নারী বাদী হয়ে তার দেবর মিরাজ উদ্দীন চৌধুরী (৩৫), দিনার উদ্দীন চৌধুরী (৪৮), রিদোয়ান উদ্দীন চৌধুরী (৪৪) সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, 'বিগত ২০১১ সালে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। সন্তানদের নিয়ে তিনি অতীব কষ্টে জীবন-যাপন করে আসছেন। এদিকে তার স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানা পাঁতারা চালায় তার দেবররা। দিনার উদ্দীন নামে তার এক দেবর বিয়ের অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তিনি রাজ হননি। আসামীদের দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টা করলে শত্রুতামূলক সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই গৃহবধুর ওপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। লোহার রড, দা, লাঠি দিয়ে ওই নারীকে গুরুতর জখম করে। দায়ের কোপে মাথায় আঘাত লেগে ৮টি সেলাই করা হয়। একই সাথে তার এক ছেলে কেও গুরুতর আঘাত করে।'
ভুক্তভোগী ফরিদা ইয়াছমিন আরও জানান, 'ঘটনার দিন আসামীরা নানাভাবে আমার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে। বাড়িতে ডুকে আলমিরার তালা ভেঙে নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমাকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দিকে আসামীদের বিরোদ্ধে মামলা করায় আমাকে ও আমার সন্তানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে আমি ও আমার সন্তান জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।'
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, 'গন্ডামারায় এক বিধবা নারীকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'