
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে শফকত হোসেন নামের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে জনৈক মওলানা জালাল উদ্দিন এ মামলা দায়ের করেন। কথিত সাংবাদিক শফকত একেএন বাংলা নামের একটি অনুমোদন বিহীন অনলাইন পেইজ চালান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা ডিবির ওসিকে তদন্ত কারার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। মামলা নং ১৪৭৭/২৫ ইং।
মামলা সুত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার আস্কারিয়া এলাকায় হাজী মাওলানা জালাল উদ্দীন আস্করিয়া সড়কে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গেলে সফকতের নেতৃত্বে তার কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ফোনে নিয়মিত হুমকি, ব্ল্যাকমেইল ভিডিও প্রকাশ ও ফোনে ভয় দেখান।
সম্প্রতি ‘এটিএন নিউজ’ এর নাম ও লোগো নকল করে খোলা ভুয়া ফেসবুক পেজ “একেএন নিউজ”-এ হাজী জালাল উদ্দীনের একটি এডিট করা অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, এই পেজটির নিয়ন্ত্রণও শফকত হোসেন নামে ওই ব্যাক্তির। তিনি ভুয়া সংবাদ পরিবেশনের নামে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত অর্থ আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আকতার হোসেন।
হাজী জালাল উদ্দীনের ভাষ্যমতে, ভিডিও ডিলিট করার শর্তে শফকত প্রথমে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে দেরি করায় ভিডিওটি আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
শফকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এমপি মুস্তাফিজের নাতি পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, স্থানীয় মাদরাসায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষকদের বেতন আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে ভুক্তভোগী হাজী জালাল উদ্দীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ওই শওকত হোসেনর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।










