আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাকে কড়া নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে ড্রোন, স্নাইপার এবং বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লতা মঙ্গেশকর চকে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যদের।
আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি') রাম মন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ নামের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ প্রতিশ্রুতি পূরণ এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।'
অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানকে ঘিরে অযোধ্যায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিস্তৃত পরিসরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
পুলিশের লক্ষ্ণৌ জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) পীযূষ মোর্দিয়া বলেন, সরযূ নদীতে নৌকার মাধ্যমে টহল দেওয়া হচ্ছে। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরি করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে হিন্দুদের দাবি, রাম জন্মভূমিতে ‘রামের মন্দির ভেঙে’ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে।'
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হামলায় মসজিদটি ধ্বংস হয়। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত জমির মালিকানার রায় মন্দিরের পক্ষে দেন। সেখানেই গড়ে তোলা হয় রামমন্দির।
সূত্র: এনডিটিভি
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.