
নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল তথা রাজশাহী অঞ্চলের গ্রাম ও শহর এলাকায় খরা, তীব্র তাপদাহ এবং পানির সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের দাবি জানিয়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবকরা। তারা একইসাথে দাবি করেছেন, জাতীয়ভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলকে খরাপ্রবণ দুর্যোগ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে এর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ‘নগর যুবদেও অঙ্গীকার, জলবায়ু সুবিচার’ শ্লোগানে অনুষ্ঠিত রাজশাহী যুব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৪-এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যুবকরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে দেশের ৪০টি যুব সংগঠনের প্রায় দেড় শতাধিক যুব প্রতিনিধি অংশ নেন, যারা রাজশাহী, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চাপাইনবাবগঞ্জ, বান্দরবান, নীলফামারী, ঢাকা, বাগেরহাট, সিলেট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন।
সম্মেলনের আলোচনায় যুবরা ১২টি মূল দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। এই দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
* রাজশাহী অঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকার জন্য জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা প্রদান
* বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য বিশেষ অর্থায়ন
* জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি
* জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় দেশের সকল অঞ্চলে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. হাসনাত কবির, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, এবং বারসিকের সমন্বয়কারী মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেক বিশিষ্ট অতিথি।
সম্মেলনের শুরুতে সম্মেলনের আহবায়ক মো: রাসেল সরকার বলেন- বৈষম্যমুক্ত সমাজ বির্নিমানে বাংলাদেশের তরুণরা কাজ করছে, আমরা বৈষম্যমুক্ত জলবায়ু ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্টা করতে চাই।
যুগ্ম আহবায়ক তানজিলা আক্তার মিমি তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই সম্মেলন যুব সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা, বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবরা, আমাদের খরাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এবং প্রাথমিক সহায়তা পেতে জোর দাবি জানাচ্ছি।