
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে ৩ মাসে দুই দফায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। দুই দফায় ২৫ লাখ টাকার দুধের গরু নিয়ে গেছে ডাকাত দল।,
জেলার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক ও কেয়ারটেকারসহ ৮ জনকে আহত করেছে ডাকাত দল।
রোববার (২ নভেম্বর) ওই মাদরাসায় গিয়ে এই তথ্য জানা যায়।
শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানায়, এই খামারের আয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হতো। ৩ মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে গেছে। খামারের এক পাশ খালি পড়ে আছে। এখন ১১টি গরু আছে। খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাতদলের আনা তুষের বস্তা। যেগুলোর মাধ্যমে গরু ভ্যানে ওঠানো হয়।
এলাকাবাসী গরু উদ্ধার ও ডাকাত দলের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
মামলার বাদী শিক্ষক ইমরান হোসাইন বলেন, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুইটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এ সময় শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোনগুলো ডাকাতদের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তারা মাদরাসার পার্শ্ববর্তী গরুর খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে ৫টি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার বলেন, এ গরু খামারের আয়ের অর্থ দিয়ে মাদরাসা পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়াও এ মাদরাসার খামারে গত তিন মাস আগে ৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, লুট হওয়া গরু উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।,











