
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাংলাবাজার জেটিঘাট থেকে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ে ট্রলার ডুবে যায়। পাঁচ দিন সাগরে ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বাঁশখালীর তরুণ জেলে মো. মোরশেদুল ইসলাম (১৭)। জীবিত উদ্ধার হয় আরও ১৪ জন।
গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতের বেলায় বাংলাবাজার এলাকার জমির কোম্পানীর মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান নামের একটি ফিশিং বোট ১৯ জন মাঝি-মাল্লাসহ সমুদ্রে যায়। টানা তিনদিন মাছ শিকারের পর সোমবার (১৮ আগস্ট) ফেরার পথে ঝড়ো হাওয়ায় বোটটি মহিপুরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। প্রায় ১০০ মণ মাছ বোঝাই ছিল ওই ট্রলারে।
বোটডুবির পর ১৫ জন জেলেকে বিভিন্ন ফিশিং বোট উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসলেও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রিলিজ দেওয়া হয়েছে, আর চিকিৎসাধীন আছেন দুইজন।
সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান ভাসমান অবস্থায় মোরশেদকে দেখতে পান। পরে তাকে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে তুলে আনা হয়।
উদ্ধারকৃত মোরশেদ জানান, “আমরা ১৯ জন একসাথে ছিলাম। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর আর কিছু মনে নেই।” কথা বলতে বলতেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
উদ্ধারকারী জেলে সিরাজ বলেন, “তাকে যখন আমরা পাই তখন তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন। গরম কাপড়ে ঢেকে রেখে তেল মালিশ করি, এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হন। নাম-ঠিকানা বলার পর আবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন।”
এদিকে নিখোঁজ ৪ জেলেকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এফবি আল্লাহর দান ফিশিং বোটের মালিক জমির কোম্পানী। নিখোঁজরা বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা এলাকার বাসিন্দা।