
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দুই জেলে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে ট্রলারডুবির ঘটনায় চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। বড় জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার উল্টে যাওয়ার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজরা হলেন: মো. জহির মিয়া (৩৮), গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার মৃত আমিন উল্লাহর পুত্র ও মেহেদি (২১), চাম্বল ইউনিয়নের জলেয়া বাপের বাড়ির কামাল মাঝির ছেলে।
গত ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার দিকে বাংলাবাজার জেটিঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ১০ জেলের একটি দল গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া চ্যানেল অতিক্রমকালে একটি বড় জাহাজের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা ১০ জন জেলে সাগরে পড়ে যান। ৮ জন জেলে উদ্ধার হলেও জহির মিয়া ও মেহেদি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
জহির মিয়া ছিলেন পাঁচ সন্তানের জনক। পরিবারে স্ত্রীসহ ৮ জন সদস্য রয়েছে। তিনি আবুল কাশেম নামের এক ট্রলার মালিকের অধীনে ৯ মাসের চুক্তিতে জেলে হিসেবে কাজ করতেন।
তার চাচাতো ভাই বেলাল উদ্দিন জানান: “ঘটনার পর থেকে পরিবারে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। প্রশাসনের কাছে জোর অনুরোধ করছি, উদ্ধারে উদ্যোগ জোরদার করা হোক।”
বাংলাবাজার বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজ উদ্দিন বলেন, “বড় জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবেছে। কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও এখনো নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।”
অন্যদিকে, কোস্টগার্ড পূর্ব জোন কুতুবদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশান্ত জানান, “ঘটনার চারদিন পর বিষয়টি প্রথমবারের মতো জানলাম। আমাদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এখন আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি।”
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ, উদ্ধার তৎপরতার ধীরগতি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাড়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।