
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যে কোনো নির্বাচনের আগে খুনিদের দৃশ্যমান বিচার হতে হবে এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এই দুটি কাজ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।’
শনিবার লালমনিরহাট জেলা শহরের কালেক্টর মাঠে বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনসহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা দেশ ছেড়ে পালায় না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে না। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারগোষ্ঠী এ সবই করেছে। ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও ফ্যাসিবাদ এখনো বিদায় নেয় নাই। এখনো মানুষ নির্যাতন ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সকলের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আগামীতে আমরা এমন দেশ চাই, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানে যেন পাহারা দেয়া না লাগে। আমরা বিশ্বাস করি, যারা এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছে তারা সবাই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। এখানে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। ধর্মের দোহাই দিয়ে আর বাংলাদেশকে খণ্ড করতে দেয়া হবে না।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আগামী দিনে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই, বাংলাদেশের বুক থেকে চিরতরে ফ্যাসিবাদের নির্মূল দেখতে চাই। আমরা আধিপত্যবাদের কালো ছায়া আর দেখতে চাই না। সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা দেখতে চাই ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আরও চাই লালমনিরহাটে কৃষিনির্ভর শিল্পকারখানা।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার আমির কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরার সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম রব্বানী ও এটিএম আজম খানসহ আরও অনেকে।’