প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বুধবার চিঠি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ৪৩ সিনেটর ও এমপি।

মোটা দাগে তিনটি ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- জরুরি ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা, জুলাই অভ্যুত্থানের ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার করা এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভেঙে ফেলা।

এসব কাজ করতে বিলম্ব বা অস্পষ্টতা কেবল জনসাধারণের অবিশ্বাসকে আরও গভীর করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা আপনার নেতৃত্বকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক বৈধতা পুনরুদ্ধারের দিকে এই অপরিহার্য পদক্ষেপকে সমর্থন করার জন্য আমরা গঠনমূলকভাবে জড়িত হতে প্রস্তুত। ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই চিঠি দেয়া হয়েছে, যা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হক নিশ্চিত করেছেন।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে- আমরা, নিম্নস্বাক্ষরকারী অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর এবং সংসদ সদস্যরা, ‘নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করার জন্য আমাদের প্রত্যাশা ভাগাভাগি করতে চাই। সেজন্য অবিলম্বে নির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রদান, জুলাই অভ্যুত্থানের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রদান এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচারকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, ‘গত বছর জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের জনগণের দেখানো সাহসিকতা এবং সাহসকে স্বীকৃতি জানাই। এটি আপনার প্রশাসনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার এবং শাসনব্যবস্থার উপর জনসাধারণের আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দিয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সিনেটর ও এমপিরা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের গত তিনটি নির্বাচনে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধতা ছিল না। নির্বাচনি অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য আমরা আপনার সরকারকে অনুরোধ করছি।’

তারা বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের জন্য একটি স্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশ সম্প্রদায় আমাদের জানিয়েছে যে, তারা আশা করে, এই ক্যালেন্ডার বছরে এটি ঘটবে এবং সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। নির্বাহী ব্যবস্থার ব্যবহার এবং অযাচিত প্রভাব বা দমন রোধ করতে হবে।’

ড. ইউনূসকে নিয়ে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি বাংলাদেশ এই পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে, আপনার সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়ন করবে এবং বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের বন্ধু এবং অংশীদার হিসাবে তার ন্যায়সঙ্গত স্থান গ্রহণ করবে। বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশের ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকদের সাহসিকতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি যারা জুলাই বিপ্লব ঘটাতে পেরেছিলেন। তবে, এই বিজয় এসেছে বিশাল মানবিক মূল্যে।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে সাত জনের প্রাণহানি’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ তিন জন, পটুয়াখালীর বাউফলে দু’জন, ভোলা ও পিরোজপুরে একজন করে

জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এ রকম কোনো সংকট হয়নি : ওবায়দুল কাদের

জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৭ জুন) সকালে

বেনজীর আহমেদের পরিণতি কি হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনজীর আহমেদ এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রের নাম। একদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সকল সম্পত্তি জব্দ করেছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাকে নিয়ে

শিশুরাও আয়নাঘরে আটক ছিল, ব্যবহার করা হতো জিজ্ঞাসাবাদে চাপ দিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গোপন কারাগারে আটকে রেখেছিলেন শিশুদেরও। কমপক্ষে অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে এমন কারাগারে ছিল জেলে মাসের পর মাস।

ইরানে মাশহাদ শহরে বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের মাশহাদ শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও কোম শহরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে ছড়িয়ে পরে

বিপর্যস্ত বিশৃঙ্খল গণমাধ্যম

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলো তার মধ্যে গণমাধ্যম একটি। গণমাধ্যম শুধু বিপর্যস্ত এবং বিশৃঙ্খল অবস্থাতেই নেই,