স্টাফ রিপোর্টার: দুপুর ১২টায় পুলিশ পাহারায় সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেছে জুলাই মঞ্চের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
পুলিশ কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য তাদের ভেতরে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে পুলিশের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করছিল জুলাই মঞ্চ। সচিবালয় ও এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ফ্যাসিবাদের দোসর উল্লেখ করে তাদের উৎখাতের দাবিতে গতকাল সোমবার রাত থেকে তারা সচিবালয়ের সামনে ওসমানী মিলনায়তনের পাশে অবস্থান করছেন।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে তারা অনড় থাকার অঙ্গীকার করেন।
জুলাই মঞ্চের নেতারা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এটি অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এসে আশ্বস্ত না করা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ সময় পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে বাগবিতণ্ডা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা ও সাবেক সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, ৩৩৪ জনের একটি তালিকা সরকারকে দিয়েছি, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সচিবালয়ে নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কর্মচারীরা অস্থিরতা তৈরি করে চলেছে।
এর আগে সোমবার (২৬ মে) রাত ১১টায় রাজধানীর শাহবাগের জুলাই স্থায়ী মঞ্চ থেকে ‘সচিবালয়-এনবিআরসহ বাংলাদেশে থাকা দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের উৎখাতে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু হয়। পরে তারা সচিবালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে বলে জানান।
এসময় তারা ‘হুঁশিয়ার সাবধান, ফ্যাসিবাদের আমলারা’, ‘ফ্যাসিবাদী ধর, উৎখাত কর’, ‘ফ্যাসিবাদ আমলা ধর, রাষ্ট্রযন্ত্র মুক্ত কর’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জুলাই মঞ্চের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলারা বাংলাদেশকে অচল করার নীলনকশায় মেতে উঠেছে। নতুন করে ফ্যাসিবাদকে নিয়ে আসার জন্য তারা নীলনকশা অঙ্কন করেছে। জুলাইয়ের একটা যোদ্ধা জীবিত থাকতে তাদের এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দিবে না।
তিনি বলেন, যারা ১৭ বছর ধরে দেশপ্রেমিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা খেয়েছে, তারা কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে পারে নাই।
বিসিএস ক্যাডার তারাই হয়েছে যারা ফ্যাসিবাদের তোষণ করতে পেরেছে। তারাই এখন দেশ চালাচ্ছে।
প্রয়োজনে ১৭ বছর ধরে যারা জেল-জুলুম সহ্য করেছে তাদের বিশেষ আইন করে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্যাসিবাদী আমলাদের উৎখাত করে দেশপ্রেমিকদের নিয়োগ দিয়ে পুরো আমলাতন্ত্রকে নতুন করে সাজাতে হবে।'