
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেন, পিআর পদ্ধিতিতে ভোটের মূল্যায়ন হলে ফ্যাসিস্ট চরিত্র তৈরি হবে না এবং প্রতিটা দলের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে। এর মাধমে এ দেশটা একটা সুন্দর দেশে পরিণত হবে। পিআর পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে একটি সুষম সংসদ গড়ে উঠবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে ও খুনিদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। বিশ্বের ৯১টি দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে এবং কোনো দেশই এটিকে বাতিল করেনি। বরং নতুন নতুন দেশ এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে শরীয়তপুর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে শহীদ চেতনার বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং বৈষম্যহীন ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার দাবিতে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, “দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ইসলামি আন্দোলনের যুবকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ তারেক জামিল এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আবরার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজিজুল হক, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ হাফেজ কেরামত আলী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও শরীয়তপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী এ্যাড. হামিদ মিয়া সরদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর জেলা সভাপতি এস এম আহসান হাবিব, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির জেলা সভাপতি মুফতি ফেরদৌস আহমেদ, ইসলামী যুব আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি প্রার্থী মুফতি ইমরান হোসাইন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সেক্রেটারী মাওলানা হাফিজুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম ঢালী, মুফতী মনির হোসেন, মাওলানা আলী আজগর, নুরে আলম সিদ্দিকি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা যুব সমাজকে ইসলামি আদর্শে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।