অনলাইন ডেস্ক: ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)–র প্রবেশাধিকার ও নজরদারি কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) দেশটির পার্লামেন্টের ভাইস স্পিকার হামিদ রেজা হাজি বাবাই এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ফাঁস হওয়া কিছু স্পর্শকাতর তথ্যের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি এবং তার প্রতিনিধিদের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সেইসাথে স্থাপনাগুলোর ভেতরে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতিও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি ও অন্যান্য শহীদ বিচার কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজি বাবাই বলেন, “সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ আসলে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৪৭ বছরের দীর্ঘ বৈরিতার ধারাবাহিকতা। এই শত্রুতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইরানের জনগণের আত্মমর্যাদা ও প্রতিরোধ।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চায় না, ৯ কোটি জনসংখ্যার একটি প্রাচীন সভ্যতা–সম্পন্ন জাতি এই অঞ্চলে স্বাধীনভাবে টিকে থাকুক। তারা চায় ইরান ভেঙে টুকরো হোক। তারা ভাবছে, ইরানের ৭০ শতাংশ জনগণ তাদের পক্ষে থাকবে—এটি নিছক ভ্রান্ত ধারণা।”
সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে হাজি বাবাই বলেন, যত বেশি চাপ আসবে, তত বেশি ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিরোধী হবে ইরানের জনগণ।
তিনি অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, “১৯৮১ সালের ২৮ জুন আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি ও বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছিল, আজও সেই একই কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, ইরানি জাতিকে দমন করা যায় না।”
সূত্র: মেহর নিউজ
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.