
মোঃ রাজিব আলি পাবনা প্রতিনিধি : চাকরিতে যান বাবা।। গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান মা। এমন ও ত অবস্থায় বাড়িতে একা থাকে রিয়াএবং তার ৫ বছরের ছোট ভাই৷ গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল রিয়া। খেলার এক পর্যায়ে মাটির পুতুল পোড়া তে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায় রিয়ার।।
একপর্যায়ে পুরা শরীরে যখন আগুন লেগে যায় ডাক ও চিৎকার করতে থাকেন রিয়া ও তার ভাই। প্রতিবেশীরা ডাক ও চিৎকারের শব্দ শুনে উদ্ধার করতে গেলে দেখে বাড়ির মেইন গেট তালা দেওয়া থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এমন এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় পাবনার ঈশ্বরদী বাসী। ওই দিন ই রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
মৃত রিয়া খাতুন (১৩) উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী জানায় যে মৃত রিয়ার বাবা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চাকরি করে। রিয়ার বাবা চাকরিতে গেলে তারপর পরে বাইরের গেটে তালা দিয়ে তার মা ও বাইরে চলে যায়। এমন ত অবস্থায় বাসায় রিয়া ও তার ছোট ভাই গ্যাস লাইট নিয়ে খেলছিল । এক পর্যায়ে এ রিয়ার জামাতে আগুন লাগে। পরে রিয়াকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়ার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান আগুনের লাগার বিষয়টি তদন্ত করা হবে।