ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: সম্প্রতি এক টকশোতে সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল ভাই ‘দারুণ’ কথা বলেছেন। তার ভাষ্য অনেকটা এরকম, ‘গণভবনে প্রশ্ন নয়, প্রশংসা করতে গিয়ে যারা ঠেলাঠেলিতে আগাতে পারেননি তারা এখন লাইনের সামনে চলে এসেছেন। বর্তমান আর আগামী সরকারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার জন্য নিজেদের অপ্রতিরোধ্যভাবে তৈরি করছেন।’
বিষয়টা সত্যিই গবেষণার। তবে দু’একজন সহকর্মীর ভাষ্য, প্রায় প্রতিটি হাউজেই ‘ইমাম’ আর ‘মুয়াজ্জিন’ পরিবর্তন ঘটছে। যারা এতদিন পেছনে ছিলেন, তারা এখন সামনের চেয়ার দখলে নিয়েছেন। সুগন্ধি তেলে তেলে পিছলে পড়ে বিগত প্রতাপশালীদের মসনদ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আগামী সরকারের জন্য আরও বেশি বিশুদ্ধ উন্নত প্রযুক্তির সুগন্ধি তেলের ব্যবহার হলে সেই পিছলে পড়া আটকানো যাবে না।
এমনটাই বলছেন মেধাবীদের কেউ কেউ। তারা বলছেন, সামনের রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়ছে। তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিকদের ‘ব্যাকডেটেড স্টাইল’ আর ‘সূক্ষ্ম ভণ্ডামি’ বুঝে গেছেন। সারা দেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে মঞ্চে এসে গলাবাজি করার দিন এখন শেষ।
গতানুগতিক ‘রাজনৈতিক সাংবাদিকতার’ ছক থেকে বেরিয়ে রাজনীতির সংস্কারমুখী সাংবাদিকতা না করলে মহাবিপদ আসতে পারে। রাজনীতি কোনো ধর্ম নয়, নেতারা কোনো দেবতাও নয়। নষ্ট রাজনীতির বদল ঘটাতে গেলে ষাট-সত্তর দশকের লেন্স বদলে নতুন প্রজন্মের লেন্স দিয়ে সাংবাদিকতা করতে হবে। আপস বা পাপোশ সাংবাদিকতা নয়, অস্তিত্ব রক্ষায় সময়ের প্রয়োজনে ‘মেরুদণ্ডি সাংবাদিকতা’ চায় নতুন প্রজন্ম।