
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স আবারো ভেঙেছে আগের সব রেকর্ড। এবার চার মাস ১৭ দিন পর মসজিদের ১৩টি লোহার দানবাক্স খুলে মিলেছে ৩২ বস্তা নগদ টাকা। সঙ্গে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকার।
শনিবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় দানবাক্স খোলার প্রক্রিয়া। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
টাকা গণনায় অংশ নিয়েছে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল যার মধ্যে রয়েছে প্রশাসন, ব্যাংক কর্মকর্তা, মাদ্রাসার ছাত্র এবং মসজিদ কমিটির সদস্যরা। এখনো গণনার কাজ চলছে।,
এর আগে, ২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল নয় কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তারও আগে, ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পাওয়া যায় ৮ কোটি ২১ লাখ টাকারও বেশি।
পাগলা মসজিদে শুধু মুসলমানরাই নন, নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দান করে থাকেন। লোকমুখে প্রচলিত আছে, এখানে মানত করলে মনের আশা পূরণ হয়। কেউ দান করেন নগদ টাকা, কেউ স্বর্ণালঙ্কার, আবার কেউ নিয়ে আসেন গরু, হাঁস-মুরগি কিংবা বিদেশি মুদ্রাও।
আড়াইশ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি বর্তমানে দেশের অন্যতম ধর্মীয় ও দানবহুল প্রতিষ্ঠান। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজেও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, এখানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এ মসজিদ শুধু কিশোরগঞ্জ নয়, এখন পুরো বাংলাদেশের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।’