
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরের একটি রেল স্টেশনের কাছে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন।
শনিবার পাকিস্তানি দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়। প্রাথমিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে রেল স্টেশনের বুকিং অফিসে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। এ কারণে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উদ্ধার কর্মকর্তারা পৌঁছেছেন।’
এছাড়া কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালে অতিরিক্ত চিকিৎসক ও স্টাফদের সাহায্যের জন্য ডাকা হয়েছে।
দেশটির রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কোয়েটা স্টেশনে থেকে ‘জাফার এক্সপ্রেস’ পেশওয়ারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসেনি। তার আগেই স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
কর্মকর্তারা জিও নিউজকে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোয়েটার সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট পুলিশ (এসএসপি)। মোহাম্মদ বালোচ বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে এটা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। তবে এনিয়ে তদন্ত চলছে।
কোয়েটার সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অপারেশন মুহাম্মদ বালোচ বলেন, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় স্টেশনের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ২১ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ১০০ জনের মতো উপস্থিতি ছিলেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেনি। তবে এটিকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে করছে পুলিশ।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এ ঘটনার তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভয়াবহ এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, যারা নিরীহ মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তারা মানবতার শত্রু। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ব্যবস্থা নেয়ার সংকল্প করেন গিলানি।
এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।’