
অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানে বিরোধী মত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চলমান দমন-পীড়ন নিয়ে শুনানি আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের টম ল্যান্টস হিউম্যান রাইটস কমিশন। সোমবার (১৪ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রকাশ করেছে কমিশন।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, উন্মুক্ত ও সরাসরি সম্প্রচারযোগ্য এ শুনানিতে পাকিস্তান সরকারের রাজনৈতিক স্বাধীনতা সীমিত করার অভিযোগ, বিরোধী নেতাদের ওপর নিপীড়ন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব কার্যক্রম পাকিস্তানের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামো, বিশেষ করে ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস’-এর আলোকে বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, পাকিস্তানে বর্তমান দমন-পীড়নের সূচনা ২০২২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতি ও কারাবরণের মধ্য দিয়ে ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় বিরোধী রাজনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে এসেছে।
২০২৩ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে পাকিস্তানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন এবং বিদেশে বসেও দমনমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মতো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
শুনানিতে অংশগ্রহণকারী সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন—অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি বেন লিন্ডেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী জ্যারেড জেনসার, আফগানিস্তান ইমপ্যাক্ট নেটওয়ার্কের সাদিক আমিনি এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপদেষ্টা জুলফিকার বুখারি।
এই শুনানি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য, স্টাফ, গণমাধ্যম ও সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এটি টম ল্যান্টস কমিশনের ওয়েবসাইট ও কংগ্রেসের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।