
অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানে গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন প্রদেশে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এতে শিশুসহ অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় ছাদ ধস ও বন্যার পানিতে ওই প্রদেশে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আটজনই শিশু। শুধু সোয়াত উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।
এদিকে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশেও একই ধরনের দুর্যোগে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেয়াল ও ছাদ ধসের ফলে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাইবার পাখতুনখোয়ায় অন্তত ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। অনেক দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে।
এছাড়া বন্দরনগরী করাচির বিভিন্ন এলাকাও পানিতে ডুবে গেছে।
জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হয়ে উঠেছে। দেশটির ২৪ কোটির বেশি জনগণ ক্রমবর্ধমানভাবে নানা ধরনের চরম আবহাওয়ার শিকার হচ্ছে।
গত মাসেও ঝড়-বৃষ্টির কারণে দেশজুড়ে অন্তত ৩২ জন প্রাণ হারান। বসন্তকালেও শিলাবৃষ্টিসহ একাধিক ভয়াবহ আবহাওয়া পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় দেশটি।