
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। জোট শরিকদের প্রার্থিতার বিষয়েও আলোচনা চলছে। সব শরিক দলের প্রস্তাবিত আসনের তালিকা পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপি পাঁচটি মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলো—
১. এলাকায় ক্লিন ইমেজ: প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অনিয়ম, দখল বা চাঁদাবাজির অভিযোগ না থাকা।
২. জনপ্রিয়তা: আসনভিত্তিক জরিপে স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
৩. ত্যাগ ও অবদান: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা নির্যাতন, কারাবাস বা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিবেচনা করা।
৪. সাংগঠনিক ভূমিকা: দীর্ঘদিন সংগঠনের পাশে থেকে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া।
৫. দলীয় কোন্দলমুক্ত থাকা: এলাকায় বিভাজন বা গ্রুপিংয়ের বাইরে থাকা নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের অনানুষ্ঠানিকভাবে শিগগিরই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্তের পর নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। প্রার্থী বাছাইয়ের পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি তদারকি করছেন তারেক রহমান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব দলের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রার্থী বাছাই ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।