গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে নির্মিত নৌকার ভাস্কর্য ভেঙে দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন গোলগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার। আজ রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ির বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে এ কাণ্ড ঘটান তিনি।
জানা গেছে, প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আবু ছাইদ শিকদার। এ ঘটনায় পুরো জেলা ও উপজেলা জুড়ে আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইছে। তিনি কাকডাঙ্গা গ্রামের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে একটি নৌকার ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। পরে আজ সকালে নিজে উপস্থিত থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে নির্মিত নৌকার ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ উৎসুক হয়ে ঘটনাটি দেখেন। যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্রাহর ভাগ্নে। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ায় এই ইউপি চেয়ারম্যান ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পরপরই ভোল পাল্টে ফেলায় উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মুক্তা বলেন, ‘আবু সাইদ শিকদার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আবু সাইদ শিকদারের মামা প্রয়াত সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লার প্রভাব খাটিয়ে পিঞ্জুরী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনে এসে তার এমন কাণ্ডে আমরা হতভাগ হয়েছে। আমরা এই নৌকা ভাস্কর্য ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ছাইদ শিকদার বলেন, ‘যার দল করি, সে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে গেছে। আদর্শ্যচ্যুত হয়েছে তাই পালিয়েছে। ওই দল আমি আর করব না। সে আসলেও আওয়ামী লীগ আর করবো না। তাই নৌকার ফলক ভেঙে ফেলেছি।’