
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক মোল্লা ওরফে নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, ভাঙচুর, কবর অবমাননা ও মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। আইনের শাসন সমুন্নত রাখা এবং মানুষের জীবনের মর্যাদা—জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরেও—রক্ষা করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব থেকে কবরটি স্বাভাবিক করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ওসির গাড়িতে হামলা চালায়। পরে তারা নুরাল পাগলার মাজারে গিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ভক্ত-অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হন। এর মধ্যে ২০ জনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, তার ও ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।