
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের আভাস মিলছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত থাকায় রাজনৈতিক ময়দান এখন মূলত বিএনপি ও জামায়াতকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। একসময় চারদলীয় জোটের শরিক থাকলেও এবার বিএনপির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে জামায়াত ইসলামী।
বিএনপি এখনো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিন। জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছাড়া জয়ের সুযোগ নেই। সে লক্ষ্যেই দলটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম পার্টি (একাংশ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, খেলাফত মজলিশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে জোট বাঁধার উদ্যোগ নিয়েছে। তারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি সামনে রেখেছে। সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে বড় ধরনের ফলাফলের আশা করছে জামায়াত।
বিএনপি এখন পর্যন্ত নতুন কোনো নির্বাচনি জোট ঘোষণা না দিলেও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামীতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠনের অঙ্গীকারের কথাও জানাচ্ছে দলটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি ও জামায়াত মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারে। একই সঙ্গে ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপির বিপরীতে বিকল্প শক্তি গড়ে উঠতে আরও সময় লাগবে।