
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগার মান্দা উপজেলার কাশোঁপাড়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামের পলাশ হোসেন (১৪) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। সে উপজেলার খোরশেদ আলমের ছেলে ও নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করতো।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পলাশ পড়াশোনার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত ২৯ আগস্ট জুমার নামাজ পড়তে বের হওয়ার পর থেকে আর ফিরে আসেনি সে। দাদা-দাদী, মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে পাঁচজনের সংসারের হাল ধরেছিল পলাশ। স্থানীয় এক ব্যক্তি মামুনের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের ওই কারখানায় কাজ নেয় সে। সামান্য বেতনে পরিবার চালালেও ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না।
ঘটনার দিন রাত দশটার দিকে কারখানার পরিচালক মামুনুর রশিদ পরিবারের সদস্যদের ফোন করে পলাশ নিখোঁজের খবর দেন। পরে স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে নিখোঁজের দিন পার হলেও এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি পলাশের।
জনা যায়,পলাশের বাবা খোরশেদ আলম জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় প্রায় ১৬ মাস ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন তিনি। এতে ঋণের বোঝা আর হতাশায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল অল্পবয়সী পলাশ।
পলাশের মা পপি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেটি সংসারের ভরসা। সে ছাড়া আমরা দিশেহারা। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমার ছেলেকে যেন দ্রুত খুঁজে বের করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।”
স্থানীয় সচেতন মহলও দ্রুত কিশোর পলাশকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ জানান,
আমরা পলাশকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি এবং বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করছি। সেদিন সেচ্ছায় সে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এমন ভিডিও আমরা পেয়েছি।











