
ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সময় সময় নানা বিতর্কিত ঘটনা উঠে আসে, যা জনগণের মনে প্রশ্ন তৈরি করে। সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে,
যেখানে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং বর্তমান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা একসঙ্গে এক রুমে থেকে নারীদের নিয়ে সময় কাটাতেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চললেও এখনো স্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতেও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন, যা পরবর্তীতে জনসম্মুখে উঠে এসেছে।
একজন রাজনৈতিক নেতার নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে যখন তারা জনসেবায় নিয়োজিত থাকেন। জনগণের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন, তবে তা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করেন এবং তারা দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। যদি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি তাদের দায়িত্বশীল অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।তারপর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা রয়েছেন বিচারের মুখোমুখি আবার অনেকে আছেন পলাতক।
সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়া ইনিস্টাগ্রামে মনোয়ার ইসলামের এক পোস্টকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।যেখানে বেশিরভার নেটিজেনরা মনোয়ার এর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।
গেল ২০ ফেব্রুয়ারি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকাতে মোট পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস আছে। লীগের আমলে সারাবছর জুড়ে পাঁচটা সুইটস অলিখিতভাবে বুকড থাকতো। লীগের শেষ ১০ বছরের বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের নামেই এসব সুইটস বুকড থাকতো।
২০১৯-২১ সাল, এই সময়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস এর মধ্যে চারটা সুইটস বরাদ্দ ছিলো যথাক্রমে ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, বেনজির আহমেদ, জিয়াউল আহসানের নামে।’
তবে পাঁচ নাম্বার প্রেসিডেনশিয়াল সুইটটা বরাদ্দ ছিলো ভিন্ন ভিন্ন দুইজন ব্যক্তির নামে। অর্থাৎ একটা সুইট দুইজন আলাদা ব্যক্তি শেয়ার করতো। মাঝে মাঝে এমনও হইছে সেই দুইজন ব্যক্তি একই সময়ে হোটেলে হাজির হয়ে গেছে।
যদিও প্রেসিডেনশিয়াল সুইটে দুইটা রুম আছে। তবু প্রাইভেসির একটা ব্যাপার স্যাপার তো আছে! কিন্তু এই দুইজন ব্যক্তি যেহেতু পূর্বপরিচিত, তাই তাদের লজ্জা-শরমের বালাই ছিলো না।
আবার মাঝেমাঝে এমনও হইছে যে, রুমে একই সাথে তিনজন ব্যক্তিকে এন্ট্রি করা লাগছে। কারণ একজন তার লুডো খেলার সঙ্গী পাইছে। অন্যদিকে অপরজনের লুডো খেলার সঙ্গী ডায়রিয়া হইছে। তখন সঙ্গিবিহীন ব্যক্তি লুডো খেলা বাদ দিয়ে ঘুমাইতো, নাকি তিনজন একসাথে লুডো খেলতো সেইটা খোদা মাবুদ ভালো জানে!
যাইহোক। এই দুইজন ব্যক্তির একজন ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান, অপরজন ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক
তিনি আরো জানান, এত কথা বললাম। কারণ ভাগাভাগি করে খাওয়ার বিষয়টা আসলে পলকের পুরানা অভ্যাস। সে জেলে বইসা ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কলা-রুটি ভাগ করে খায়। আর জেলের বাইরে ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডা. মুরাদের সঙ্গে শুয়ে শুয়ে ভাগ করে খাইতো।’
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতাছে, ডা. মুরাদ তেমন ক্ষমতাবান কোনো ব্যক্তি না হয়েও ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইট বাগায় নিছিলো। কারণ নারীলিপ্সু মুরাদ তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মিডিয়া জগতে অপকর্মের অবাধ বিচরণ শুরু করে।
সেই সুবাধে আরেক নারীলিপ্সু ওবায়দুল কাদেরের প্রধান সাপ্লায়ার হিসাবে ডা. মুরাদ নিয়মিত সেবা প্রদান করতো। ওবায়দুল কাদেরকে নিয়মিত খেদমত করার জন্য গিফট হিসাবে ড. মুরাদকে দেওয়া হয় একটি প্রেসিডেনশিয়াল সুইট!