
নাটোর থেকে: নাটোর জেলার ৭৫ জন শিক্ষিত তরুণ-তরুণী পেলেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বহুল আলোচিত ‘দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প
ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড’ এর অধীনে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উত্তীর্ণদের চোখেমুখে এখন নতুন আশার আলো।
গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সারা দেশের মতো নাটোরেও ৮’শ অধিক আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরদিন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে ৭৫ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। এছাড়া ৩০ জনের অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শ্রী সোহাগ বাবু, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অঃদাঃ) মো. মখলেছুর রহমান, ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড প্রকল্পের বিভাগীয় প্রধান রাজু আহমেদ, প্রশিক্ষক মো. আবুল হাসনাতসহ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিকক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনটি ব্যাচে ৭২০০ জন যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ সরাসরি আয় বা উদ্যোক্তা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মিলিত আয় ইতোমধ্যে ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
প্রকল্পটির অন্যতম আকর্ষণ হলো প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা—প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান করা হয়। অক্টোবর-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য ঘোষিত চতুর্থ ব্যাচে সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে প্রতি জেলা থেকে ৭৫ জন করে ৩৬০০ জন প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।
নাটোর থেকে এর আগে তিন ব্যাচে ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ নিয়মিত আয় করছেন। ফলে জেলার তরুণ সমাজের মাঝে এ প্রকল্পকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বেড়েছে।
‘ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড’ দেশের স্বনামধন্য আইটি কোম্পানি হিসেবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, অভিভাবক সমাজ ও সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকির ফলে সারাদেশে এটি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা তৈরির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।