
জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভুয়া ডিবির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ মার্চ) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোরের শার্শা টেংরাইল মাঝেরপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী ছেলে হাসান (২৪), যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মৃত হোসেন মোহাম্মদ গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪), ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৩), যশোর সদর উপজেলার খড়কি বর্মনপাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৮), যশোর শার্শা উপজেলার নাভারণ রেল বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), একই উপজেলার গোগা গাজিপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০) ও বেনাপোল পুটখালী রাজগঞ্জ এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২)।
জানা যায়, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে যশোরে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আসামিরা সবজি বিক্রেতা সোহাগ ও হাবিবুর রহমানকে অপহরণ করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে কেশবপুরের একটি মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায় তারা। ওই দুই সবজি বিক্রেতা ঘটনার পরের দিন যশোর পুলিশের শরণাপন্ন হলে যশোর গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপহরণকারীদেরকে শনাক্ত করে।’
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেফতাররা সবাই অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে তাদের কাছ থেকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানা যায়, ওই দুই ব্যবসায়ী গত শনিবার ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে যশোর চাঁচড়া এলাকায় তরিকুল ইসলাম শাহিনের ২য় তলা ভবনের সামনে নামেন। এরপর ডিবি পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে তাদেরকে উঠিয়ে নেয়। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে কেশবপুরের একটা ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়।
এরপর বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন- গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।