
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নৌশক্তি বাড়াতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নৌশক্তি বাড়াতে আগামী ১০ বছরে নিজেদের রণতরীর বহর দ্বিগুণ করবে দেশটি। এ জন্য খরচ হবে ৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনটা যদি হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী।
(২০ ফেব্রুয়ারি’) মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ১১টি যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৬টি করা হবে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের রণতরী নিজেদের বহরে যোগ করবে দেশটি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এটি আমাদের সবচেয়ে বড় নৌবহর হবে।
মার্লেস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তির মধ্যে প্রতিযোগিতার জেরে আমাদের সামনে এক অনিশ্চিত বিশ্ব। আমাদের এখন যে সামরিক শক্তি আছে তার তুলনায় ত্রিশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তা নাটকীয়ভাবে ভিন্ন হবে। এটাই আমরা পরিকল্পনা করছি এবং এটিই আমরা তৈরি করছি।
এ সময় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ায় ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।’
তিনি আরও বলেন, আমরা এই মুহূর্তে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তাতে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। আমাদের দেশ যে কৌশলগত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তার জটিলতার কারণে এটি প্রয়োজন।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া উল্লেখযোগ্য হারে নৌশক্তি জোরদারে মনোযোগ দিয়েছে। তবে দেশটির প্রধান প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যয় বৃদ্ধি, সরকারি ইউটার্ন, নীতিগত পরিবর্তনের কারণে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি না করে শুধু স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল শোব্রিজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সরকারকে অবশ্যই অতীতের ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে হবে। এই অঞ্চলে প্রতিযোগিতা বাড়ায় তাদের কাছে নষ্ট করার মতো আর সময় নেই।’