
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও অভিযোগমূলক বক্তব্য দেন, যা দুদক কর্তৃপক্ষ ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছে।
মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, কিছু প্রতারক চক্র কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করছে। এর সঙ্গে দুদকের প্রকৃত কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয়। কমিশন ইতোমধ্যেই এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদক আরও জানায়, এ ধরনের অপপ্রচার কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তারা জানান, অনুসন্ধান বা তদন্ত চলাকালে যদি কোনো কর্মকর্তা অনৈতিক প্রস্তাব দেন বা ঘুষ চান, তাহলে টোল-ফ্রি হটলাইন ১০৬ অথবা ই-মেইল (chairman@acc.org.bd)–এ জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে দুদকের ডিজি ও ডিডির পরিচয়ে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। তিনি তিনটি ভিডিও ক্লিপসহ দাবি করেন, “দুদকের চা খাওয়ার বিল নাকি এক লাখ টাকা! এটা কোনো স্বাধীন দেশের চিত্র হতে পারে না।”
হাসনাত বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—যদি আমার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তা প্রমাণ করে মামলা করুন। কিন্তু কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি বা চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না।”
দুদক বলছে, এ ধরনের পোস্ট তদন্তাধীন কোনো বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারে এবং সত্যতা যাচাই না করে মন্তব্য করাটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। কমিশন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—যে কোনো অভিযোগে নির্ভরযোগ্য তথ্যসহ সহযোগিতা করুন, যাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে এনসিপি নেতার পোস্ট ঘিরে বিতর্ক; দুদক বলছে, অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। প্রতারণার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ।