
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী (২৫)। রোববার (২ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি।
প্রেমিক মামুন রানা বগুড়ার আদমদিঘীতে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করেন। জানা গেছে, মামুন রানা বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘ সাত মাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এখন বিয়ে না করায় অনশনে বসেছেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। অনশনরত ওই তরুণী বলেন, মামুন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাত মাস ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে।,
গত শুক্রবার মামুন তার কর্মস্থল বগুড়া আদমদিঘীতে আমাকে ডেকে নেয়। সেখানে এক বাসায় সময় কাটিয়ে কয়েল আনার কথা বলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় তার বাড়িতে চলে আসি। উপায় না পেয়ে রোববার সকালে বাড়িতে অনশনে বসি। মামুনের পরিবারের লোকজন আমাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমি বর্তমানে মামুন রানার চাচার বাসায় অবস্থান করছি। মামুন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব। ওই তরুণীর বাড়িও একই গ্রামে।
তিনি মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়েটির সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এটা আশপাশের লোকজন জানে। কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয়নি। মামুন রানার মামাতো ভাই আব্দুস সালাম বলেন, সকালে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তার কাছে কিছু প্রমাণও দেখলাম। আমি মামার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত সহযোগিতা করব।