
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: শুক্রবার ছুটির দিনে সিরাজগঞ্জর তাড়াশ উপজেলার বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার হলে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দোষ চাপালেন স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের উপর। অন্যদিকে সভাপতি বলছেন, গাছকাটার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে তিনি নিষেধ করেছিলেন।
জানা যায়, ১৯৩৭ সালে তাড়াশ উপজেলার বস্তুল গ্রামে সে সময়কার সিরাজগঞ্জ মহকুমার এসডিও ইসহাক আলীর উদ্যোগে তার নামানুসারে প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ হিসেবে বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
এলাকার সুনামধন্য এ বিদ্যালয় চত্বরে একটি একটি কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ বহু বছরধরে শোভাবর্ধন করে আসছিল। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে গাছের চারপাশ পাকাকরণ করা হয়।
যে বসে শিক্ষার্থীরা আবসর সময় কাটাতো। তাদের নানা স্মৃতি জাগানিয়া কৃষ্ণচূড়া গাছটি গত ৭ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সুযোগে কেটে ফেলা হয়।
এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি সহ নানা মন্তব্য লিখে পোস্ট করা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
রাকিব হোসেন রানা নামের সাবেক এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে কৃষ্ণচূড়া গাছের ছবি মন্তব্য করে লিখেছেন, তরতাজা কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছটি ছুটির দিনে কেটে ফেলা হয়েছে। এই গাছ আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।
মো: নাজমুল হোসাইন নামের আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য করে তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, টাকার অভাব না প্ল্যানিংয়ের অভাব, জানতে মন চায়?।
এ বিষয়ে বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশ্বিনী সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের এসেম্বলিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষকরা গাছটি কেটে ফেলেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ ছাড়া কি কোনো কিছু করা সম্ভব।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: হযরত আলী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো গাছ কাটার সুযোগ নেই। কিছু দিন আগে প্রধান শিক্ষক আমার কাছে কৃষ্ণচূড়া গাছটি কাটার জন্য পরামর্শ করলে, তাকে নিষেধ করা হয়।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, আমি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।










