নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অস্ত্র ও মাদক রাখার প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া ছিনতাই ও যৌন হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৫ বছরে ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত'।
ঢাবির প্রক্টর অফিস ও রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৪৩ জন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।অপরাধ সংঘটনের সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে পদ ছিল ১৩ জনের, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ২৫ জন এবং দুজন সাবেক নেতা।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আবাসনসংকট, ছাত্রসংসদের অনুপস্থিতি, জবাবদিহিমূলক ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশিত মাত্রায় না থাকায় এগুলো কোনো না কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরো বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব করতে পারলে এ ধরনের অপরাধপ্রবণতার ঘটনা একেবারেই থাকবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে পাঁচজন, ২০২০ সালে ১৭ জন, ২০২১ সালে তিনজন এবং ২০২২ সালে তিনজন, ২০২৩ সালে ২৪ জন এবং চলতি বছরের দুই মাসে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। বহিস্কৃতদের মধ্যে প্রথম বর্ষের ২২ জন, দ্বিতীয় বর্ষের ১৪ জন এবং বাকিরা অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে ‘পাওয়ার পলিটিকস’ করেন। তারা নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়া ঢাকা জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে অনেকে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছোট ছোট বিষয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানি শিকার হয়, বিপথগামী হয় বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন সে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে, কথা বলবে এবং তাঁর ভবিষ্যতের চিন্তা-ভাবনা সে নিজেই যেন করতে পারে, সে জন্য আমরা ম্যানুয়ালটি তৈরি করছি। দুই মাসের মধ্যে ম্যানুয়ালটি হয়ে যেতে পারে।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.