
নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নানা স্লোগান উত্তাল হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ‘সাদাসিধে কথা’ নামে নিজের একটি ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে দুই প্যারায় ছোট্ট মতামত লিখেছেন তিনি। তার নিজ হাতে লেখা চিরকুটও সেখানে আপলোড করা হয়েছে।
চিরকুটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয় আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই রাজাকার।’
তিনি আরও লিখেন, আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন। সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’
এ প্রসঙ্গে ড. জাফর ইকবাল গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটা লিখেছি। আমার ওয়েবসাইট সাদাসিধে কথা আর্কাইভে এটা পাবেন। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত, অনুভূতি।’
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।’