নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাৎ ও শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় মাসে এক দুইবার আদালতে হাজির হতে হচ্ছে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। নথি অনুযায়ী, গ্রামীণ কল্যাণকে ৩৯২ কোটি টাকা উপহার দেয় গ্রামীণ ব্যাংক। এই উপহারের টাকা আবার ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। যা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।'
নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রামীণ প্যাকেজেস নামের একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান আছে ড. ইউনুসের। আর এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে গিয়ে নানা অনিয়মের আশ্রয় নেয়া সব পক্ষই। খোদ গ্রামীণ ব্যাংকের ক্রয় নীতিমালায় ২ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটায় দরপত্রের বিধান থাকলেও তার ধারধারেনি গ্রামীণ ব্যাংক। দরপত্র ছাড়াই দেদারসে করেছে কেনাকাটা। এমনকি মানা হয়নি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালাও।
শুধু তাই নয়, নিজের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিমকে বানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। সেখানেও মানা হয়নি নিয়ম। গ্রামীণের এতসব নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন নিয়ে বড় পরিসরে দুদকের অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন, সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংককে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন নোবেল জয়ী ড. ইউনূস। এটি ভয়ংকর ব্যাপার।
গ্রামীণ ব্যাংকে এসব অনিয়ম নিয়ে নরওয়ের দাতব্য প্রতিষ্ঠান-নোরাড এরই মধ্যে সতর্ক করেছে গ্রামীণ ব্যাংককে। তবে প্রতিষ্ঠানটির সুনামের কথা চিন্তা করে তা প্রকাশ না করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দুদক আইনজীবী বলেন, অনুসন্ধান চলছে। তবে কোন বিষয়ে চলছে সেটা বলতে পারছি না। এই বিষয়টি সেই অনুসন্ধানে আসছে কিনা তাও আমি বলতে পারছি না। যদি না এসে থাকে তবে অবশ্যই আনতে হবে, নয়তো আলাদা করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান প্রয়োজন। তবে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি দুদক।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.