ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে দেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ইতালির সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার ফাঁকে ড. ইউনুস এই সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে দেশ পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে।
ড. ইউনুস বলেন, “গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ছাত্র, যুবক এবং শ্রমিকদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করি।” তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনের তিনদিন পর প্যারিস থেকে দেশে ফিরে এসে তিনি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সাবেক সরকারের ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ কারণেই রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।'
তিনি বলেন, “সরকার গঠনের সময় দেশ ছিল চরম বিপর্যস্ত। ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে অরাজকতা বিরাজ করছিল। এখন দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনুস জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সুপারিশের ভিত্তিতে গঠিত ১৫টি কমিশন জুলাই মাসের মধ্যে একটি সংস্কার সনদ তৈরি করবে। এরপর ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনুস পোপ ফ্রান্সিসকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি জানান, পোপ রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছিলেন। পাশাপাশি ড. ইউনুস তার “তিন শূন্য” তত্ত্ব—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং বলেন, ভবিষ্যৎ বিশ্বের জন্য এই লক্ষ্যগুলো অত্যন্ত জরুরি।'