
বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ী এলাকায় যৌথবাহিনীর সাথে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এই অভিযানে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া দেশী-বিদেশী অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ গুলির চালান উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি ডাকাত দলের জিম্মি দশা আটক থাকা স্থানীয় এক যুবককেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অভিযানিক দলের সদস্যরা।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য, রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ শাখায় দায়িত্বরত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দীন রশিদ তানভীর গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানতে পারে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত জাদিমুরা এলাকা সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় সশস্ত্র ডাকাত দলের একটি গ্রুপ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী,শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা অভিযানের উপস্থিতি অনুভব করতে পেরে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে অভিযানিক দলের সদস্যরাও বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়লে ডাকাত দলের সদস্যরা পিছু হটে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে বিদেশী তৈরি একটি জি-৩ রাইফেল, একটি ৬৫ মিমি বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক ৩টি, ৩ হাজার, ১০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি,১৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলের জিম্মি দশায় আটক থাকা অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করতেও সক্ষম হয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম হচ্ছে-টেকনাফ পৌরসভার নতুন পল্লান পাড়া এলাকার বাসীন্দা জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মোঃ সোহেল (২০)।
উদ্ধারকৃত মাদক,অস্ত্র ও গুলির চালানটি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ডাকাত দলের জিম্মি দশা থেকে উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।