
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে টিসিবির কার্ড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে কয়েকশ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়ার পরও প্রতিশ্রুত কার্ড না পেয়ে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, টাকা নেওয়ার এক মাস পার হলেও এখনো তারা কোনো কার্ড পাননি। বারবার তাগাদা দিলেও ইউসুফ ও জয়নাল বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছেন। বিএনপি নেতা ও পল্লী চিকিৎসকের আড়াল আব্দুল মোমিনও টাকা গ্রহন করছেন। ফলে প্রতারিত লোকজন প্রতিদিন তাদের কাছে টাকা ফেরতের দাবিতে ঘুরছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগবাটি ইউনিয়নের পশ্চিম গারদহ, কানগাতি, খোরাগাতি ও পূর্ব গারদহ গ্রামের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইউসুফ, কৃষকদলের ৩নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মোমিন। সরকার ঘোষিত টিসিবির চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্য এবং সরকারি অনুদান প্রদানের কথা বলে তারা এই অর্থ সংগ্রহ করেন।
তারা আরও জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে নামধারী কিছু বিএনপি নেতা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত। ইউসুফ-জয়নালরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউসুফ ও জয়নাল স্বীকার করে বলেন, জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছি। কার্ড দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবো। তারা আরও দাবি করেন, আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব থাকায় মানুষ স্বেচ্ছায় টাকা দিয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতা ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মোমিন বলেন, ইউসুফ জয়নাল আমার বন্ধু ও কাজের সুবিধার্থে আমার দোকানে এসে তারা কাজ করছেন। তাদের কথামতো অনেকেই আমার কাছে আইডি ও টাকাও দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণদাস বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কোন ধরনের অপরাধ বা প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসব বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।