
নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ঝটিকা মিছিল প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ের পুলিশ চাপে রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব মহানগর ও জেলা পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে কোনো মূল্যে এসব মিছিল ঠেকানোর জন্য। সংশ্লিষ্ট থানার পাশাপাশি গোয়েন্দা ইউনিটগুলোও এই কাজে তৎপর রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বেড়েছে এবং এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসে কয়েকটি মিছিলে ককটেলের ব্যবহার দেখা গেছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করা হলে পুলিশ আগেই তথ্য পেয়ে অভিযান চালায়। ওই দিন ডিএমপি ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে ২৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৪টি ককটেল ও সাতটি ব্যানার। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি, এসবি ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “যেখানেই ঝটিকা মিছিল হবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।”
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এএইচএম শাহাদাত হোসাইন জানান, বেআইনি সমাবেশ প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনারসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম জানান, আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট ও ছাত্রাবাসে আত্মগোপন করা কর্মীদের খুঁজে পেতে নাগরিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”











