
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার পতনের সুযোগে গাড়ী আটকে দুই লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে। এক লাখ টাকা রফাদফায় ৬দিন পর বেতনের ক্ষতি হওয়ায় চালক আমিনুলকে দুই হাজার টাকা দিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেওয়ার একটি কথপোকথন ভিডিও বার্তায় জানা যায়।
এছাড়া আব্দুল ওহাবের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁর পদ থেকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের অনাস্থার প্রস্তাব চেয়েছে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এ নিয়ে শ্রমিকদলের সহ সভাপতি কে.এম আহসান হাবিব এর স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপি’র সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, শ্রমিক দলের বিভিন্ন নেতাবৃন্দের মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখা যাওয়ায় গত ১১ আগস্ট (রবিবার) এক বিশেষ সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৫১ কমিটি বিশিষ্ট সদস্যের ভিতর ৩৮জন নেতাকর্মীদের উপস্থিতির মতামতের ভিত্তিতে দলের সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল ওহাব এর সকল অনৈতিক কার্যকলাপ উঠে আসে। সে বিভিন্ন সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্তৃক সিদ্ধান্তগুলো অমান্য করে। এছারাও বর্তমানে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরকে সেক্রেটারী আব্দুল ওহাব শ্রমিকলীগকে নিয়ে এসে মারধর করে এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করে। তাছারা সে শ্রমিক দলের বিভিন্ন সেক্টরে গিয়ে (টাকা খেয়ে) শ্রমিকলীগের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেণ। এ বিষয়ে তিনি কোনো নেতাকর্মীর সাথে সমন্বয় করেন না বলে নেতাকর্মদের মাঝে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়।
এসব বিষয়ে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছিম আহমেদের সাথে মুঠোফোনে সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আনিত অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো আমরা কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি পেলে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনাস্থা প্রস্তাবে আনীত অভিযোগের তদন্ত করে যদি সংশ্লিষ্টতা পায় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
এসব বিষয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওহাব এর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।